মানুষের মৌলিক চাহিদার মধ্যে অন্ন, বস্ত্র ও আশ্রয়ের মূল উপাদানের যোগান আসে ভূমি হতে। ভূমি মানুষের জীবনের জন্য এক অপরিসীম উপকরণ। জন্ম হতে মৃত্যু পর্যন্ত মানুষ কোন না কোন প্রকারে ভূমির উপর নির্ভরশীল। একটি দেশের সার্বভৌমত্বের মূল ভিত্তি হচ্ছে ভূমি। আর ভূমির উপর সরকারের অধিকার প্রতিষ্ঠার প্রতীক হচ্ছে ভূমি রাজস্ব। রাজস্ব ব্যবস্থা এ দেশের বহু প্রাচীন প্রতিষ্ঠান। তৎকালীন প্রশাসনিক স্বার্থে রাজস্ব আদায়ের সুবিধার্থে কৃষকের উৎপাদিত ফসলের উপর নির্ধারণ করা হত রাজস্ব। এ রাজস্ব আদায় সম্রাট শেরশাহের শাসন আমলে কঠোর করা হয়েছিল; পরে সম্রাট আকবরের আমলে ঢেলে সাজানো হয় এ রাজস্ব ব্যবস্থা। ইংরেজ শাসনামলে সরকারের আয়ের প্রধান উৎস বা অর্থনীতির মূল ভিত্তি দাঁড়ায় ভূমি রাজস্ব। এর ধারাবাহিকতায় রাজস্ব আদায় সুষ্ঠু ও নির্বিঘ্ন করতে ইংরেজ কর্তৃক কালেক্টর পদ সৃষ্টি করা হয়। কালেক্টরের অধীনে ভূমি বন্দোবস্ত, ভূমি জরিপ, ভূমি চিহ্নিতকরণ, নিরাপত্তা বিধান, ভূমিতে অনধিকার প্রবেশ রোধ, ভূমি সংক্রান্ত বিরোধ নিষ্পত্তি, সরকারী সম্পদ রক্ষা তথা ভূমি উন্নয়ন কর (রাজস্ব) নির্ধারণ/আদায়সহ ইত্যাদি কার্যক্রম বর্তমান অবস্থায়ও চলমান আছে। ১৯৮৯ সালে সরকারের সকল প্রকার রাজস্ব আদায় তথা ভূমি প্রশাসনকে যুগোপযোগী করতে প্রতিটি উপজেলায় উপজেলা ভূমি অফিস সৃষ্টি করা হয় (তিন পার্বত্য জেলায় কিছুটা ব্যতিক্রম) । তহশিল অফিসের নাম পরিবর্তিত হয়ে ইউনিয়ন ভূমি অফিস করা হয়।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS